,

স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়ক অবরোধ ২ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ

আকিকুর রহমান সেলিম \ নবীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ১০ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রকে পিঠিয়ে আহত করার ঘটনায় ফুঁেস উঠেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ ঘটিকা পর্যন্ত হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের নবীগঞ্জের রসুলগঞ্জ বাজারে টায়ারে আগুন লাগিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিক্ষোব্দ শিক্ষার্থীরা। প্রায় ২ ঘন্টা সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে সড়কের উভয় দিকের কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। এসময় নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রী সাধারণদের। পরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্কুল ছাত্রীর উপর সকল হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে পরবর্তিতে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেয়া হবে বলে ঘোষনা দেন বিক্ষোব্দ শিক্ষার্থীরা। উলে­খ্য, নবীগঞ্জের সীমান্তবর্তী বক্তারপুর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে একই প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র নবীগঞ্জের মুরাদপুর গ্রামের আব্দুর নুরের পুত্র শাহিনুর রহমান ফলক প্রতিদিনই উক্ত্যক্ত করে আসছিল। এ অবস্থায় গত রবিবার দুপুরে ফলক ওই ছাত্রী মোবাইলে ফোন দিয়ে আপত্তিজনক কথা বার্তা বলে। এ খবর ছাত্রী তার বড় ভাই একই প্রতিষ্ঠানের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র তারেকুর রহমানের কাছে জানালে সে এর প্রতিবাদ করে। এ ঘটনার জের ধরে ফলক তার চাচাত্তো ভাই আব্দুল আওয়াল ও সহপাঠিদের নিয়ে এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য স্কুল ছুটির পর রসুলগঞ্জ নতুন বাজারের হামিদ মার্কেটের নিকট অপেক্ষা করতে তাকে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারেকুর ওই স্থানে আসা মাত্রই কোন কিছু বুজে উটার আগেই বখাটে ফলক ও তার সঙ্গে তাকা ২ সহযোগী তার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে। এসময় তারেক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্বার করে নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তারেকের অবস্থা বেগতীক দেখে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপালে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে ওইদিন সন্ধায়ই হামলার ঘটনার সাথে জড়িত ফলকের চাচাত্তো ভাই আব্দুল আউয়ালকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে পুলিশ। এদিকে গতকাল বুধবার সকালে হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের রসুলগঞ্জ বাজারে টায়ারে আগুন লাগিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও ২ ঘন্টা সময় সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষোব্দ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। বিক্ষোব্দ শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকল হামলাকারীকে গ্রেফতার না করলে ফের আন্দোলনে নামবেন বলে জানান। এ সময় এক প্রতিবাদ সভায় উক্ত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জামাল মিয়ার সভাপতিত্বে ও শিক্ষক কামাল হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বরইউরি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদ আহমদ, অভিভাবক কমিটির সদস্য কফিল উদ্দিন, হায়দর মিয়া, ডাঃ আব্দুল মুকিদ, আতাউর রহমান মামুন, মুহিবুর রহমান, হারুন মিয়া, ইউপি সদস্য তোফায়েল আহমদ, মহিবুর মিয়া প্রমুখ। এসময় স্কুলের শিক্ষক/শিক্ষিকাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির্বগ উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে মানব বন্ধনে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীদের ধৈর্য্য ধরার জন্য অনুরোধ করেন এবং খুব শিগ্রই আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে বক্তব্য রাখেন থানার সেকেন্ডে অফিসার মোবারক হোসেন, এস আই সুজিত চক্রবর্ত্তী। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর